অধ্যক্ষ আশরাফুল হক

এলএলবি (অনার্স) এলএলএম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ঢাকা ১৮ আসন (উত্তরা, উত্তরখান, দক্ষিণখান, তুরাগ, বিমানবন্দর, খিলক্ষেত)
এমপি পদপ্রার্থী, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী
প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ, হলি চাইল্ড স্কুল এন্ড কলেজ, উত্তরা, ঢাকা।
সিনেট সদস্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (২০০৩-০৬)
এ্যাডভোকেট, ঢাকা ও গাজীপুর বার।
সেক্রেটারী, বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশন (২০০৯-১৭)

 

সাফল্যের বর্ণাঢ্য জীবন

১৯৮৯ থেকে উত্তরায় বসবাসরত (দক্ষিণ খানের গণকবরস্থান রোড এবং উত্তরা ৯ নং সেক্টর এ) অধ্যক্ষ আশরাফুল হক-এর পৈত্রিক নিবাস বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দি উপজেলায়। সরকারি কর্মকর্তা পিতা মোঃ মোজহারুল হকের কর্মক্ষেত্র লালমনিরহাটে কেটেছে তার স্কুল জীবন, ১৯৭৯ সনে ঢাকার তিতুমীর কলেজ থেকে এইচএসসি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে ১৯৮৬ সনে তিনি এলএলবি (অনার্স) ও এলএলএম সম্পন্ন করেন।
চার পুত্র সন্তানের জনক অধ্যক্ষ আশরাফুল হক বিয়ে করেছেন লালমনিরহাটে। তাঁর স্ত্রী নীলিমা জাহান ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন ও পেশায় একজন শিক্ষিকা। আইন পেশার সাথে যুক্ত থাকলেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা, শিক্ষা গবেষণা এবং শিক্ষকদের অধিকার ও শিক্ষা আন্দোলনের কাজই তাঁর মূল পেশা হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। শিক্ষা ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখার পাশাপাশি সমাজসেবা, ইসলামী আন্দোলন ও রাজনীতিতে বরাবরই সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন। ১৯৯৬ সনে তৎকালীন ঢাকা-৫ (বৃহত্তর উত্তরা ও তৎপার্শ্ববর্তী এলাকাসমূহ) আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মনোনয়নে এমপি পদপ্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সিনেট সদস্য ও বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশন-এর সাবেক জেনারেল সেক্রেটারি অধ্যক্ষ আশরাফুল হক-এর জনপ্রিয়তা ও জনসম্পৃক্ততায় ভীত হয়ে গত ১৭ বছর ফ্যাসিস্ট সরকার তাঁর বিরুদ্ধে মামলা-হামলা, হুলিয়াসহ তাঁকে নানাভাবে হয়রানি ও কারানির্যাতন করেছে। জনকল্যাণ ও নাগরিক সুবিধাবিষয়ক কাজে ব্যাপকভাবে সম্পৃক্ত হওয়ার মানসে তিনি 'আমার ঢাকা ফাউন্ডেশন' নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন।
১৯৭১ সনের লাখো শহীদের রক্তে কেনা স্বাধীনতাকে সমুনড়বত করতে ২৪-এর জুলাই অভ্যুত্থানের পর মুক্তিকামী ছাত্র-জনতার কাঙ্ক্ষিত সন্ত্রাস-চাঁদাবাজমুক্ত এবং জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে বৈষম্যহীন ও ইনসাফভিত্তিক নতুন বাংলাদেশ গড়ায় সম্পৃক্ত হতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মনোনয়নে তিনি ঢাকা-১৮ আসন (উত্তরা, উত্তরখান, দক্ষিণখান, তুরাগ, বিমানবন্দর, খিলক্ষেত, ভাটারা) থেকে এমপি পদপ্রার্থী হয়েছেন। তাঁর এই সংগ্রামী পথচলায় এলাকাবাসীর দোয়া, ভালোবাসা, অকুণ্ঠ সমর্থন ও সক্রিয় অংশগ্রহণ তিনি প্রত্যাশা করেন।